টাকা নাই টাকা চায় – সূর্যাশীষ

Money-coruption-india-Suryashis-Meghpori-Magazine

“টাকা নাই, টাকা চায়”সূর্যাশীষ ঘোষ

জীবনটা বড়ই অদ্ভুত তাই না – জীবন থাকতে জীবনকে
গুরুত্ব দিই না, জীবন চলে গেলে তার মূল্য অনেক কারণ কেউ চাইলেই জীবনটা ফিরে পায় না।
কিন্তু “টাকার” ক্ষেত্রে ব্যাপার টা পুরোই আলাদা, টাকা থাকুক বা নাই থাকুক তার চাহিদা কখনোই
মিটবে না, টাকা সবসময় আমাদের কাছে চাহিদার পাত্র, যার স্বচ্ছতা মানুষ অন্তত পাবে না। তার
জন্যই এটা টাকা, জীবন কিন্তু এটা না। টাকার জন্য মানুষ নিজের স্থান তাই কিছুক্ষনের জন্য ভুলে
গিয়ে বসে কারণ ওই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

এএক অদৃভুত ধরনের খেলা, এ খেলা সবার মাথায় ঢুকবে না।
জীবন সৃষ্টির উৎস একটাই রাস্তা, কিন্তু টাকা উপার্জন করার রাস্তা কিন্তু অসীম । কি অদ্ভুত তাই না
যার অনেক উৎস তারই কিনা ক্রাইসিস, যার একটাই উৎস তার কোনো ক্রাইসিস নেই। পপুলেশন
এর অভাব নেই আমাদের এই ভারতবর্ষে, শুধু টাকার অভাব। সব ছুটছে টাকার পেছন,  সবার একটাই
লক্ষ্য কিভাবে টাকা আর্ন করা যায়, সেটা সৎ উপায় হোক অসৎ উপায় হোক, কারণ একটাই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

টাকার জন্যই তো এত খেলা,খেলার একটাই উপলক্ষ টাকা আর্ন করা।
তবে আশ্চর্য হবেন এটা শুনেই যে, ‘ও আশ্চর্য কেনো হবেন আপনারাও তো সবাই জানেন, নতুন করে
জানানোর কিছু নেই, তাও বলবো, বলতে তো আমায় হবেই’, ” যাদের জন্য খেলার ( যাদের জন্য
কেনো বলছি, ওটা তো ওপরের প্রলেপ, এ) আয়োজন, বা যাদের উদ্দেশে খেলার
পরিকল্পনা অর্থাৎ খেলোয়াড় ৷ দেখা যাবে টাকা’ এই খেলায়, যারা মূল অংশ অর্থাৎ খেলোয়াড়রা
আর পৃথিবীতে বিরাজমান থাকলো না, তাতেও কিন্তু খেলা থামবে না ” এতে এত অবাক হবার কিছু নেই।

খেলা থামবে না কারণ ওই একটাই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

খেলার মূল উদ্দেশ্য তো” খেলোয়াড় খেলবে এটা না, খেলোয়াড় দের দিয়ে খেলিয়ে ওরা টাকা আর্ন
করবে, ই খেলোয়াড় মরুক বাঁচুক ওদের কি যায় আসে, ওদের টাকা উপার্জন হলেই হলো।”
কারণ ওই
খেলা থামবে না কারণ ওই একটাই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

খেলার মূল উদ্দেশ্য তো” খেলোয়াড় খেলবে এটা না, খেলোয়াড় দের দিয়ে খেলিয়ে ওরা টাকা আর্ন
করবে, তাই খেলোয়াড় মরুক বাঁচুক ওদের কি যায় আসে, ওদের টাকা উপার্জন হলেই হলো। ”
কারণ ওই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

এখানেই শিক্ষিত আর অশিক্ষিত দের মধ্যে ফারাক । কারণ শিক্ষিতরা “বোঝে বেশি, চালাক কম হয়
আর অশিক্ষিতরা” বোঝে কম কিন্তু চালাকের বেলায় উচ্চ পর্যায়ে থাকে”। তা না হলে যাদের জন্য
“খেলা হোক” স্লো গান তাদের উপর কোনো নজর দারী নেই, তারা মারা যাক, আরে মশাই এটা তো
বুঝুন যে-” এরাই আপনাদের ভগবান, আর এরা মারা গেলে পরবর্তী খেলা কাদের নিয়ে খেলবেন,
খেলোয়াড় ছাড়া কোনো খেলা হয় বলে তো আমি অন্তত জানি না”।
তখন মাথায় এলো –” খেলোয়াড়কে কেনো ভগ্বান বলছি, ভগবান তো ওরাই , যাদের সবসময় দেখা
যায় না শুধু দরকারের সময় পদধুলি দেয় “একটু ঠিক করে বলছি,—” দরকার আমাদের না অর্ধাৎ
খেলোয়াড়দের না দরকার টা ভগবানের” মানে আপনারা যা ভাবছেন ওটাই, হুম ওই যে ভোট পুজোয় ওদের মত ভগবান দের আমাদের মত
খেলোয়াড়রা পদধূলি পায় ঠিক যেনো স্বয়ং ভগবান। কারণ ওই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

এই যে এত খেলা খেলা করছি, এতক্ষনে আপনারা বুঝে গেছেন যে আমি “খেলা” মানে “ভোট খেলার”
কথা বলছি “ওদের” মানে “রাজনীতিবিদ” দের কথাই বলছি।
ওরা জানে না যে-” কখন? কি ভাবে? কি করে খেলতে হয়? জানলে আজ এই দুস্থর সময়টা আসতো
না আমাদের সবার জন্য”, এক্ষেত্রে আমি মনে করি আমরাই দায়ী কারণ – “আমাদের বোঝা উচিত ছিল এ সময়টা আমাদের জন্য খেলার সময় না, খেলার সময় অনেক ছিল, বয়ে যাচ্ছিলো না খেলার
সময়”
(এক্ষেত্রে বলাবাহুল্য যে – “আমি কিন্তু খেলতে যায়নি মানে ওই যেটা চলছে না ভোট পুজো, ওই
পুজোতে কিন্তু আমি অংশগ্রহণ করিনি, ভোট দিতে যায়নি আমি)
ওরা তো খেলাতে চাইবেই কারণ ওরা তো খেলতে পারবে না। খেলবো আমরাই তাই আমাদের কি হলো,
না হলো ওদের কি মাথাব্যাথা ৷ ওরা শুধু দেখবে খেলাটা আমাদের আয়ত্তে আসছে কিনা,
কারন ওই একটাই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

ঠিক একই রকম খেলা চলছে হসপিটালেও। যাদের (ডক্টর) আমরা ভগবানেরও চেয়েও অন্য চোখে
দেখি তারাও আমাদের দিয়ে খেলাচেছে।
কারণ —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

কোনো রোগীকে রোগীর পরিবার হসপিটালে ভর্তি করিয়ে দিয়ে অনেক বড় নিশ্বাস ফেলে, কিন্তু সেই
ভগবানতুল্য ডক্টর রাই বলে বসে –” টাকা কিছু আ্যাডভান্স করেছেন বা আপনি স্বাস্থ্য সাধী কার্ডে ভর্তি
হলেন না বেসরকারি সংস্থায় ভর্তি হলেন? না বললে রোগীর চিকিৎসা শুরু করতে পারবো না”।
(যদিও এই কথা গুলো সচরাচর ডক্টররা বলেন না কিন্তু শুনতে হয় নিজেকে ডক্টর ভাবা ডক্টরের
আসে পাশে মানুষ গুলোর কাছ থেকে)
কারণ ওই একটাই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”

বলছি মশাই, “রোগী কি কন্ডিশনে আছে তো আগে দেখুন, না দেখেই টাকার কথা কেনো? টাকা আগে
না রোগী আগে আপনাদের কাছে? টাকা হলে বলুন টাকাটা দিয়ে রোগী কে নিয়ে চলে যাচ্ছি”
তারপর দেখবেন আপনি সরকারি তে গেলে “কভিড এর জন্য না হয় এখন বেড মিলছে না অন্যথা ওরা
ভালো কেয়ার করবে না” আর বেসরকারি তে ” স্বাস্থ্য সাধী কার্ডে ভর্তি হলে ডিসচার্জ এর সাথে সাথেই
হাতে টাকা পাবে না বলে মনটা. টু ভার দেখাবে পরে সরকারি নীতিতে ভর্তি করতে বাধ্য”।
তার ফলে চিকিৎসায় একটু তিথাকবে, অনেক কিছু টেস্ট দেখতে পারবে না। আর কার্ড বিহীন
ভর্তি হলে তো কথাই নেই, ক্ষুধার্ত বাচ্চা শিশুরা খাবার দেখতে পেলে যেমন হাসে ঠিক তেমন এক মুখ
হাসি দেখতে পাবেন, তারপরই ভর্তির প্রসেস দ্রুত হারে শুরু হবে। পরে অনেক কিছু টেস্ট দেখিয়ে
বিলাস বহুলতা দেখিয়ে এক লম্বা খরচের লিস্ট ধরিয়ে দেবে’
কারণ ওই —

“টাকা নাই, টাকা চায়”
আমার লেখায় কেউ খারাপ ভাবলে বা আমার অনিচ্ছায় কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে, আমি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আমি এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের হয়েই ভাষণ দিইনি, যারা রাজনৈতিক দলের সাথে ডিরেক্ট বা ইন্দিরেক্টলি যুক্ত তাদের আমি কাউকে অপমান করিনি, আমি তাঁদের আমার তরফ থেকে শসদ্বেয় প্রনাম জ্ঞাপন করি।
(সবার কিছু ব্যাতিক্রম থাকে, থাকতেই হয়, ডক্টরেরও অনেকে খুব ভালো আছেন, তারা সত্যি ভগবানের চেয়ে কিছু কম নয় তাই প্লিজ কেউ আঘাত পাবেন না আমার লেখায়।

Please rate this Post

5/5 (1)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *