কর্মফল – আরেফ

কর্মফল - আরেফ Meghpori

সমাজে দুটি দিক আমরা সকলেই লক্ষ করি!
কারো বাবা-মা “বাড়ীতে”, কারো বা “বৃদ্ধাশ্রমে”

আসুন একটু পর্যালোচনা করে দেখা যাক কেন এই ‘দ্বিচারিতা‘!

আপনি যদি ইট ভাটা কোনোদিন গিয়ে থাকেন তাহলে লক্ষ্য করবেন ওখানকার মায়েরা তার সন্তান কে কাপড়ের সাথে পিঠে বা কোলে তার সন্তান কে বেঁধে কাজ করে চলেছে!

আপনার কি মনে হয় এই মা কে কখনোই বৃদ্ধাশ্রম যেতে হবে?!..নাহ, শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে ওই সন্তান তার মা কে রক্ষা করে যাবে।

বাবা গরীব, সন্তান মেধাবী! এমন কিছু দৃশ্য আমরা দেখতে পাই! ওই গরীব বাবা হাড়ভাঙ্গা কষ্ট করে যেই ছেলেকে সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা মাস্টার করে, তাহলে সেই সন্তান তার বাংলো তে তার বাবা কে নিশ্চই স্থান দেবে।

কোন বাবা মা গুলো বৃদ্ধাশ্রমে যায় তাহলে?

আপনি শহরে ঘুরতে গেলে দেখতে পাবেন এমন কিছু মা আছে যারা পোষা কুকুর কে কোলে নিয়ে সন্তান কে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই মা ই বৃদ্ধাশ্রমের ভবিষ্যত বাসিন্দা।

বাবা-মা উভয়ই চাকরি করে, শিশু সন্তান সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকছে কাজের মাসির কাছে,

বাবা-মা আর ছেলের প্রতি কি ভাবে টান গড়ে উঠবে??

সমাজে এমন কিছু মা আছে যারা সন্তান কে নিজের দুগ্ধ পান করাই না, দোকান থেকে কৃত্তিম দুধ কিনে এনে খাওয়াই, লজ্জা এটা!

এই ক্ষেত্রেও মা-ছেলের যে দুধের সম্পর্ক সেটা গড়ে ওঠে না, যার ফলে ওই মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে ছেলে সংকোচ বোধ করে না!

ব্যাতিক্রম সব ক্ষেত্রেই থাকে!

তাই অনেক বাবা-মা পরিশ্রম করে সন্তান কে প্রতিষ্ঠিত করার পরেও বৃদ্ধাশ্রমে জায়গা হয়,এই রকম কুলাঙ্গার সন্তান গুলো কেও তার ছেলেও একদিন পাপের শাস্তি হিসেবে বৃদ্ধাশ্রমের টিকিট কেটে দেবে!

সন্তানের উপর গুরুত্ব দিন,সন্তান আপনার উপরেও দেবে🙏

আপনার কর্ম অনুযায়ী, ফল পেতেই হবে😌।

Please rate this Post

5/5 (1)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *