প্রিয়তমা রাই (তৃতীয় চিঠি) – ইশান

Priyotoma-Rai-Tritiyo-Chithi-Ishaan-Meghpori-Bangla

প্রিয়তমা রাই,
তোমায় নিয়ে ভাবতে বসলে, তোমার কথা মতো আমার সময় ক্ষয় হয়… আর আমার কথায়, “দুঃখ”। বাস্তব থেকে মানুষের বেরোতে যে দরজাটা লাগে, আমার চোখে সেটা “তুমি”।
তোমার জন্য কত মহালয়ার ভোর কেটেছে বাজি পড়ানোর অজুহাতে তোমার পাড়ায় গিয়ে একঝলক তোমার দেখা পেতে। কত অষ্টমীর সন্ধ্যে, তোমায় শাড়ি পড়ে দেখে “দেবী-রূপে” কল্পনা করে..।

গত দশমী তোমায় সিঁদুর খেলতে দেখে,.. জানো..!? খোঁপাই একটা কাঠগোলাপ গুঁজে দেয়ার অধিকার দাওনি কোনদিন… তবুও ঠিক কিভাবে মন পড়ে নিয়ে তোমার হাত আপনার হতেই চুলে লাগিয়ে নিতো একটা “রক্তগাঁদা”..।
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতাম… ঢাকের শব্দ দুই কানে মোমের মতো গলে যেতে শুনতাম.. আর.., আর দেখতে তোমার অভিমান ভরা চোখ আমার দিকে তাক করে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নেওয়া।

বিসর্জনে দেবীর সাথে তোমার গালওে রুপোলি নদী..। কিন্তু তুমি তো আমায় ঘৃণা করো.., তবে..??
তোমার অভিধানে অভিমান খুব চোখে লাগে জানোতো..!
আমি এগিয়ে যেতে চাইলে হাতের মুঠোয় শক্ত করে অভিমান আটকে পালিয়ে বেঁচেছ প্রতিবার..!!

আমার গল্পে সূচনার সুযোগ কই..?? রাই..??
তোমার ঘৃণায় ভরা বেড়াজালটা একবার পেরোতে পারতে..। সংসারটা তাহলে হয়তো আমার একার থাকতো না ..!?

শেষে ঢাক থেমে গেছে প্রতিবার বারবার.., কেটে গেছে অনেক বর্ষা-শরৎ-শীত… ছিঁড়ে ফেলেছি তোমাকে লেখা সব চিঠি..

তবুও ল্যাপটপের ওয়ালপেপারে তোমার হাসির দিকে তাকিয়ে থাকা একা জায়গা রাতগুলো এখনো তোমার কথায় শুধোই.. ওরাও চিনে গেছে আমায়..।
এভাবে তোমার উগ্র প্রেমে সীমা হারাবো.. ভুলে যাবো জগতের সব নিয়মকানুন।
অবশেষে যখন তোমার উত্তাল কান্নায় জ্ঞান ফিরবে, তখন আমি সব প্রতিক্রিয়ার ঊর্ধ্বে.. অনুভূতিহীন মস্তিষ্ক ভাবার শক্তি হারাবে, এভাবেই অন্তিম সময় আসবে.. “একদিন সবকিছু শেষে জ্বলবে”।
পুরোপুরি বিলীন হবে পড়ে থাকা পার্থিব দেহ। তখনই ভুলে যেওনা আমায়.. মনে রেখো “একপাগল” সত্যিই ভালোবেসেছিল.. তোমায়.. রাই ..!!

Please rate this Post

5/5 (1)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *